Menu

News Details

Image

Press Release on Shot out order by DMP Commissioner

সম্প্রতি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনারের নাশকতাকারী বা অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের “দেখামাত্র গুলি/শুট-অ্যাট-সাইট” করার নির্দেশ প্রদান প্রসঙ্গে হিউম্যান রাইটস্ সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। পাশাপাশি, কমিশনারদ্বয়ের নির্দেশের বিষয়ে এইচআরএসএস নিম্নলিখিত বক্তব্য তুলে ধরছে:

১.    নির্ধারিত নাশকতাপ্রত্যক্ষ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা স্বাভাবিকভাবে কাম্য। তথাপি, “দেখামাত্র গুলি” প্রয়োগের নীতি আইনের শাসন, সংবিধান ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মানদণ্ডের সঙ্গে পরিপন্থী।

২.    বাংলাদেশের সংবিধান ও আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী রাষ্ট্রকে জীবনের অধিকার, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও বিচারপ্রক্রিয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এই ধরনের নির্দেশাবলী হয়তো কার্যকর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে দেওয়া হলেও দৃষ্টান্তমূলক নির্যাতন, বিচারবর্জিত হত্যাকাণ্ড বা সাধারণ নাগরিকদের ওপর ভীতিভিত্তিক শক্তির প্রয়োগের জন্য পথ খুলে দিতে পারে।

৩.    আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে মাত্রা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, নির্যাতনবর্জিত ও বিচক্ষণ ব্যবহারের নীতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উন্মুক্ত “গোলাগুলি নীতি” স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ বাড়িয়ে দেয়, যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঝুঁকি বাড়ায়।

৪.    দুর্বৃত্ত কার্যকলাপ যেমন গাড়ি ভাঙচুর, ককটেইল বোমা বিস্ফোরণ, সন্ত্রাসী হিংসার ঘটনা অবশ্যই উদ্বেগের বিষয়; কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিধিনিষিদ্ধ বন্দুক ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই দেশীয় আইন ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে।

এইচআরএসএস সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই ধরনের নির্দেশনা প্রত্যাহার করতে এবং আইনগত ও মানবাধিকারমানদণ্ড অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে জোরালোভাবে আহ্বান জানাচ্ছে।  এইচআরএসএস মনে করে, গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়ার মাধ্যমে জীবন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় না। এটি একটি বিপজ্জনক পদক্ষেপ হতে পারে, যা আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণ হতে পারে। সুতরাং, সুশাসন ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই আইন প্রয়োগ করতে হবে, যা জনস্বার্থ এবং মানবাধিকার রক্ষার জন্য সহায়ক হবে।